বিভাগ - জেলা | রাজশাহী বিভাগ - নওগাঁ জেলা |
স্থানাঙ্ক | ২৪.৫৫° উত্তর৮৮.৪৪° পূর্ব |
আয়তন | ৩৯৭.৬৭ বর্গকিমি |
সময় স্থান | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
জনসংখ্যা (২০১১) - ঘনত্ব - শিক্ষার হার | ২,৯১,৬৯২ জন[১] - ৭৩৩ বর্গকিমি - ৬০% |
ওয়েবসাইট: উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট |
মহাদেবপুর বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
অবস্থান[সম্পাদনা]
মহাদেবপুর উপজেলার আয়তন ৩৯৭.৬৭ বর্গ কিমি। উত্তরে পত্নীতলা উপজেলা, দক্ষিণে মান্দা উপজেলা ও নওগাঁ সদর উপজেলা, পূর্বে বদলগাছি উপজেলা এবং নওগাঁ সদর উপজেলা, পশ্চিমে নিয়ামতপুর উপজেলা এবং পোরশা উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
মহাদেবপুর সদর শহর ৪টি মৌজা নিয়ে গঠিত এবং এর আয়তন ৭.১৫ বর্গ কি.মি.। প্রশাসন থানা সৃষ্টি হয়ে ছিল ১৮৯৮ সালে। বর্তমানে উপজেলা ১টি, ইউনিয়ন ১০টি, মৌজা ৩০৭টি, গ্রাম ৩০০টি।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৮৮২ খ্রীষ্ট্রাব্দে নওগাঁ মহকুমা সৃষ্টির পর ১৮৯৮ খ্রীষ্ট্রাব্দে মহাদেবপুরকে নওগাঁ মহকুমার অন্তভূক্ত করা হয়। এর পুর্ব পর্যন্ত মহাদেবপুর দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৫ ডিসেমবর /১৯৮২ খী্রষ্টাব্দে মহাদেবপুরকে মান উন্নীত থানায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে মহাদেবপুর একটি শহরে অবয়ব লাভ করেছে। ব্যবসা বাণিজ্য শিল্প সাহিত্য এবং জীবনযাত্রাই মহাদেবপুর নওগাঁ জেলার অগ্রসরমান একটি উপজেলা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।অনুমান করা যায় যে, ১৭৫৭ সালে পলাশীতে নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলার পরাজয়ের পর এ উপমহাদেশে ইংরেজদের সাবেক স্নেহভাজন ও নব্য গজিয়ে উঠা ধর্মীয় প্রভাবশালী হিন্দু সম্প্রদায় তাদের অবসহান দৃঢ় করে নেয় এবং সমাজের সকল স্তরে প্রভাব প্রতিপত্তি ঘটাতে থাকে। হিন্দু প্রভাবের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেব-দেবীর নামানুসারে বিভিন্ন গ্রাম ও সহানের নাম করন করা হয়। আর এভাবে হিন্দু ধর্মীয় দেবতা মহাদেবের নাম অনুসারে মহাদেবপুরের নাম করন করা হয়েছে বলে অনুমিত।
মহাদেবপুর উপজেলা ২৪˚৪৮র্ ও ২৫˚০১র্ উত্তর অক্ষ্যাংশের মধ্যে ৮৮˚৩৮র্ ও ৮৮˚৫৩র্ পুর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবসিহত । মহাদেবপুর উপজেলার দুরত্ব নওগাঁ জেলা সদর হতে ২৪ কিঃ মিঃ পশ্চিমে এবং ঢাকা হতে ৩৩৫ কিঃ মিঃ। ইতিহাস থেকে জানা যায় মহাদেবপুরের অধিবাসিরা মুলত পুন্ড্রজাতির বংশধারায় বাংলাদেশে সর্ব প্রথম নগর সভ্যতার গোড়াপত্তন করেছিল। মহাদেবপুরে বর্তমানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই পশ্চিম বঙ্গের বীরভূম,বর্ধমান ও রাঢ় অঞ্চল হতে আগত। তা ছাড়া ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পশ্চিম বঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বালুঘাট থেকে প্রচুর লোকজন এ এলাকায় আগমন করে। এ ছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আদিবাসী বসবাস করে।
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
জনসংখ্যা ২,৯৭,৮৮১ জন (জন নিবন্ধন অনুযায়ী), পুরুষ ৫২.৮৩% প্রায়, মহিলা ৪৭.১৭% প্রায়।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
শিক্ষার হার ৬০%।কলেজকলেজ, কলেজ ৫টি হাইস্কুল ৩৯টি, মাদ্রাসা ২১টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৪টি, রেজিষ্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪১টি। প্রাচীন প্রতিষ্ঠানঃ মহাদেবপুর সর্ব মঙ্গলা উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৫), বাছরা প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০০), জিগাতলা মাইনর স্কুল (১৯৩২), সরস্বতীপুর হাই স্কুল (১৯৪০)।
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
মূলত এই অঞ্চলে মানুষের প্রধান আয়ের মাধ্যম হলো ধান চাষ। কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলের মানুষ ধানের উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এই উপজেলায় আছে অটোমেটিক চাউল কল ৭টি, সাধারন চাউল কল ৩৫টি প্রায়, ইট ভাটা প্রায় ২৫টি, পেট্রল পাম্প ২টি ইত্যাদি। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ব্যবসা গুলো হলো- লাইব্রেরী, কাপড়ের দোকান, জুয়েলার্স, ঔষধের দোকান, ফটো স্টুডিও ইত্যাদি
কৃতী ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
বিবিধ[সম্পাদনা]
খানা/ইউনিয়ন : ইউনিয়ন সংখ্যা- ১০টি
মৌজা : ৩০৭ টি
সরকারী হাসপাতাল : ০১ টি
স্বাসহ্য কেন্দ্র/ক্লিনিক : সরকারী স্বাসহ্যকেন্দ্র- ০৯টি,ক্লিনিক-০৭টি
পোষ্ট অফিস : প্রধান ডাকঘর -০১টি শাখা ডাকঘর-১৮টি
নদ-নদী : নদী -০১টি ( আত্রাই নদী)
হাট-বাজার : ২১ টি।
ব্যাংক : ১২ টি।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে মহাদেবপুর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগৃহীত ৯ জুলাই, ২০১৪।
No comments:
Post a Comment